কয়েকটি অনগদ লেনদেনের নাম বলবেন প্লিজ?? অনগদ লেনদেন কোন গুলো??
অনগদ লেনদেনঃ নগদ ও ধারে লেনদেন ছাড়া ভবে আছে যারা তারাই হলো অনগদ লেনদেন । অথবা বলা যেতে পারে যে লেনদেনকে ডেবিট-ক্রেডিট করিলে নগদান-ব্যাংক ও প্রাপ্য অথবা প্রদেয় কোনো হিসাবই পাওয়া যায় না তাকে অনগদ লেনদেন বলে।যেমনঃ আসবাবপত্রের অবচয় ৫০০ টাকা এখানে নগদান-ব্যাংক ও প্রাপ্য অথবা প্রদেয় কোনো হিসাবই নেই তাই এটি অনগদ লেনদেন।আরো কিছু অনগদ লেনদেনের উদাহরণঃ
যন্ত্রপাতির অবচয় ধার্য ৬০০ টাকা।
সুনামের অবলোপন ২০০০ টাকা।
বিনামুল্যে পণ্য বিতরণ ৮০০ টাকা।
বাট্টা প্রাপ্তি অথবা প্রদান ৩০০ টাকা।
রহিমকে ৫০০০ টাকার পূর্ণ নিষ্পত্তিতে ৪৫০০ টাকা প্রদান । [ শুধুমাত্র প্রাপ্ত বাট্টা/ ডিসকাউন্ট ৫০০ টাকা অনগদ লেনদেন বাকি ৪৫০০ টাকা নগদ লেনদেন]
জনাব কাশেমের নকিট হতে ৭০০০ টাকার পূর্ণ নিষ্পত্তিতে ৬০০০ টাকা প্রাপ্তি । [ শুধুমাত্র প্রদত্ত বাট্টা/ ডিসকাউন্ট ১০০০ টাকা অনগদ লেনদেন ]
শেয়ারের বিনিময়ে জমি ক্রয় ৫০০০০ টাকা।
**আবার অনগদ লেনদেনকে ২ ভাগে ভাগ করা যায় ।
i) তাৎপর্যপূর্ণ অনগদ লেনদেন / পুস্তক লেনদেনঃ যে অনগদ লেনদনে সাধারণত প্রতিষ্ঠানে এক হিসাবের সাথে অন্য হিসাব বিনিময় বা সমন্বয় করা হয় তাকে তাৎপর্যপূর্ণ অনগদ লেনদেন / পুস্তক লেনদেন বলে । যেমনঃ জমি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে শেয়ার ইস্যু , বন্ডকে শেয়ারে রুপান্তর ইত্যাদি । এর দ্বারা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয় না তাই তাৎপর্যপূর্ণ অনগদ লেনদেনগুলো নগদ প্রবাহ বিবরণীতে অন্তরভুক্ত হয় না ।
ii)অন্যান্য অনগদ লেনদেনঃ যে অনগদ লেনদেন দ্বারা তিষ্ঠানের সার্বিক আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয় তাই হলো অন্যান্য অনগদ লেনদেন। অন্যান্য অনগদ লেনদেনগুলো নগদ প্রবাহ বিবরণীতে অন্তরভুক্ত হয় ।
বিস্তারিত – এখানে